সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরিদপুরের মধুখালীতে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সৌগত বসুর গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা সহ তিনজনকে কুঁপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহতদের মধ্যে রয়েছেন, সৌগত বসুর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), মা কাকুলী বসু (৬১) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালো (১৬)। তারা সকলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার(৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতে তারা টিভি দেখছিলেন। এ সময় ঘরের ভেতর একজনকে দেখতে পায়। তাকে ধাওয়া দিলে বাড়ির দোতলা অবস্থান নেয়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্যামলেন্দু বসুর মাথায় কোপ দেয়। পরে অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত।
সৌগতের কাকিমা শুক্লা বসু বলেন, 'আমরা ফরিদপুর শহরে থাকি। রাত সাড়ে আটটার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওনারা আমাকে ভিডিও কল দিয়ে বাঁচানোর আকুতি জানান। পরে আমি প্রতিবেশীদের জানালে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সৌগত বসু বলেন, বাড়িতে আমার বাবা-মা ছাড়া কেউ থাকে না এবং আমার অসুস্থ মাকে দেখাশুনা করত প্রীতি। তারা এখন গুরুতর অসুস্থ, পুরো ঘটনা এখনও বলা যাচ্ছে না। একজন নাকি একাধিক লোক ছিল তা বলা যাচ্ছে না। তবে, আমাদের কারো সঙ্গে ঝামেলাও নেই।
তিনি আরও বলেন, এটি চুরির কোনো ঘটনা নয়। আমাদের বাড়িতে অনেক রাত পর্যন্ত টেলিভিশন দেখে। কেউ চুরি করলে তখন আসবে কেন। এছাড়া কোনো মালামালও খোয়া যায়নি। এটা অবশ্যই হামলা বা অন্য কোনো ঘটনা হবে।
ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার জীবন কুমার জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্বৃত্তরা চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে শ্যামলেন্দু দাদার বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে শ্যামল দা ও তার স্ত্রীর দেখাশোনার জন্য প্রীতি মালো নামের এক কিশোরী থাকেন। তাছাড়া বাড়িতে কেউ থাকেন না। তার তিন ছেলে বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক অর্ণব জানান, শ্যামলেন্দু বসুর মাথায় গুরুত্বর আঘাত রয়েছে। তার মাথার হাড় ভেঙে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যদের আঘাত গুরুত্বর নয়।
এদিকে, খবর পেয়ে মেডিকেল হাসপাতালে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা সহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় শৈলেন চাকমা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে চুরি করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ১৪-১৫ বছর এক কিশোর ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে গৃহকর্তা ধাওয়া দিলে তাকে এবং অন্যদের সোল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।