দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চুয়াডাঙ্গায় নার্সিং ইন্সটিউটে ৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তিতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন খাতে জনপ্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ২-৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এমন কিছু অনিয়মের রশিদ আমাদের হাতে এসেছে। শুধু তাই নয়, ওইসব শিক্ষর্থীদের ভর্তির সময় মেডিকেল টেস্টের জন্য বলা হয়। যেই টেস্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেও করা যায়। তাতে খরচ হয় ৪০০-৫০০ টাকা। অথচ বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেডিকেল সেন্টারে পাঠিয়ে অতিরিক্ত অর্থে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইন্সটিউটে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ২৫ জন এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে আরও ৫০ জন ভর্তি হওয়ার যোগত্য অর্জন করে। তাদের ভর্তির জন্য সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রতি ৬ হাজার ৮১০ টাকা করে ভর্তি ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অথচ চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইন্সটিউট কর্তৃপক্ষ সেই সরকারি নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত ফি ধরে রশিদ তৈরি করেছে।
চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইন্সটিউটের ভর্তি ফি’র জন্য অর্থ আদায় রশিদে দেখা গেছে, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ১৫টি খাতে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ১৪টি খাত দেখিয়ে ৮ হাজার ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার ১৯০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হিসেবে আদায় করেছে এবং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের ২৫ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি আরও ১ হাজার ৬৯০ টাকা করে আদায় করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে পরিশোধ রশিদ ধরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমরা পরে জেনেছি সরকারিভাবে ওই ভর্তি ফি’র খরচ আরও কম। যেহেতু আমাদের রশিদ দিয়েছে সেহেতু আমরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি।
এ বিষয়ে নার্সিং ইন্সটিউটের ইন্সট্রাক্টর ফরিদা ইয়াছমিনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই হয়েছে। তারাই সব খরচপত্র করেছে। আর খরচের খাত নির্ধারণ করেছে কমিটির সদস্যরা। আমি একা নির্ধারণ করিনি, এখানে লুকোচুরির সুযোগও নেই।
আরএ