সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফেনীতে অপহরণের ৪ দিন পর আহনাফ আল মাঈন নাশিত (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ফেনী সদর উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ ময়লার ভাগাড় সংলগ্ন ঢাকা-চট্রগ্রাম রেললাইনের পাশে একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছেন- আশ্রাফ হোসেন তুষার (২০), মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিপাত (২০)। তারা সবাই ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসপি হাবিবুর রহমান বলেন, ৮ তারিখ বিকেলে ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কস্থ লাইটিং হাউজিং কোচিং সেন্টারে পড়তে যায় ওই এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন সোহাগের ছেলে নাশিত। কোচিং শেষে ঘরে না ফেরায় ৯ তারিখে নাশিতের বাবা সোহাগ ফেনী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। গত দুই দিন ধরে একটি মোবাইল থেকে নাশিতের বাবা সোহাগকে কল করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার তুষার নামের এক ব্যক্তির কথাবার্তায় নাশিতের বাবার সন্দেহ হলে সে পুলিশকে অব্যাহত করেন। পরে পুলিশ তুষারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাত ২টার দিকে তুষার অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে। পুলিশ তুষারের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনায় জড়িত আরো দুইজনকে আটক করে।
পুলিশ সুপার আটককৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অপহরণকারীরা ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত। ৮ তারিখ সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে ভিকটিমকে সিএনজি করে ঘুরতে বের হয় এবং জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। এসময়পরে অপহরণকারীরা ভিকটিমের বাবার কাছে কল দিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘুম থেকে উঠে ভিকটিম কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে শিশু নাশিতের মরদেহ গুম করতে ফেনী শহরের নির্জন এলাকা দেওয়ানগঞ্জ রেললাইনের পাশে একটি ডোবার ভেতর লুকিয়ে রাখে। মরদেহটি পানিতে ভেসে না ওঠার জন্য ভিক্টিমের স্কুল ব্যাগে পাথর ভরে চাপা দেয়া হয়। পরে আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে মরদেহটি উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে আটককৃতদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভিকটিমের পিতা মাঈন উদ্দিন সোহাগ বলেন, কি কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তা জানি না। তারা আমার কাছে ১২ লাখ টাকা চেয়েছে। আমি টাকা জোগাড় করে তাদের কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।
এফএইচ