সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরিদপুরে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অনুপম কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির এক নারী নিরাপত্তাপ্রহরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অফিস সহকারী মো. সিরাজুল ইসলাম এ যৌন হয়রানিতে সহযোগিতা করেন বলে ওই নারীর অভিযোগ।
এ ঘটনায় রোববার (১০ নভেম্বর) ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।
অভিযোগপত্রে ওই নারী উল্লেখ করেন, ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী সে। তবে, তাকে প্রতিষ্ঠানটির হোস্টেলের সহকারী বাবুর্চি হিসেবে কাজ করানো হতো। চাকরিকালীন ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রায়ই তাকে কোয়ার্টারে অফিস সহকারীর মাধ্যমে ডাকতেন। এছাড়া অধ্যক্ষ নিজে ফোন দিতেন। তিনি তার সব কাজ করাতেন। এছাড়া স্ত্রী বাসায় না থাকলে প্রায়ই তাকে বাসায় ডাকতেন। এছাড়া প্রায়ই কথার ছলে কাম বাসনার কথা বলতেন বলে ওই নারীর দাবি।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সম্প্রতি একদিন রাত ৮টার দিকে ফোন করে তাকে বাসায় যেতে বলেন অধ্যক্ষ। বাসায় গেলে ওই নারীকে যৌন হয়রানিমূলক কথা বলে এক পর্যায়ে জোরপূর্বক তার বিছানায় নিয়ে যৌন নির্যাতন করার উপক্রম হন। পরে দৌঁড়ে পালান ওই নারী। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে মুখ খুলেননি। তবে, আরও একাধিকবার ওই নারীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে বিষয়টি নিয়ে সে প্রতিবাদ করায় তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন অধ্যক্ষ অনুপম কুমার দেবনাথ।
তবে কলেজটির ইমরান, ইয়াদ হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, 'ওই নারী বিভিন্ন সময়ে হোস্টেলের মালামাল চুরি করে বাসায় নিয়ে যেতেন। এ নিয়ে আমরা একাধিকবার প্রতিবাদ করি। সতর্কও করা হয়। অধ্যক্ষের পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চেয়ে রেহায় পান তখন। তবে সর্বশেষ চুরির একটি ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়লে ছাত্রদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।'
এব্যাপারে অধ্যক্ষ অনুপম কুমার দেবনাথ একটি ট্রেনিংয়ে জার্মানিতে থাকায় একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওই নারীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে কয়েকবার চুরির অভিযোগ উঠে। পরে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই নারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর, চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্যেই নানা মিথ্যা বানোয়াট ও সম্মানহানিকর অভিযোগ করছেন। অধ্যক্ষ একজন ভালো মানুষ, খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
এফএইচ