সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৪নং বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনের মতো ক্লাস হচ্ছে রাতেও। আর ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, স্কুলে কোচিং করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হাসান দুদু। ক্লাস অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে ৩০০- ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, পূর্ব বেলকা বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু হাসান ও বেলকা এম সি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই কোচিং সেন্টার চালিয়ে আসছেন। আর এতে বাধ্যতামূলক ৩য় শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসের ২ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাসে ৩০০-৫০০ টাকায় কোচিং এ পড়ান তারা।
এদিকে বেশ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রাইমারি স্কুলের বিদ্যুৎ বিল দেয়। শিক্ষকরা রাতের বেলা দিনের মতো স্কুল চালায়। এতে সরকারকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোচিং থেকে কারেন্ট বিলের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এসব অনিয়ম করলেও দেখার কেউ নেই।
তারা আরও বলেন, শিক্ষকরা যদি ক্লাসে ঠিকমতো পাঠদান করাতেন, তাহলে রাতের বেলা কোচিংয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করানো লাগত না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবু হাসান দুদুর সঙ্গে বারবার ফোন দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেও কথা না বলে কেটে দেন তিনি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এভাবে রাতে কোচিং বাণিজ্যের জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুণতে হচ্ছে সরকারকে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অ