সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে বরিশালে চালু হয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। বুধবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর চাঁদমারি মাদরাসা সড়কে অবস্থিত প্রাইমারি স্কুলের সামনে ও অপরটি নগরীর আমতলার মোড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নাগরিকের ব্যানারে এ দোকান চালু করা হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকে শুরু হওয়া এই দোকানে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হয়। প্রতিটি পণ্যের দাম বাজারে প্রচলিত দামের চেয়ে কিছুটা কম হওয়ায় খুশি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া বাজারের সকল পণ্যই বেলা ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। প্রথম দিনে এমন বিক্রি হবে তা কল্পনাও করেনি এ উদ্যোক্তারা।
সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারা জাহানারা বেগম জানান, আমি বাজার ঘুরে এখানে এলাম। বাজার থেকে এখানে দাম কিছুটা কম। নিম্ন আয়ের মানুষদের এই দোকান উপকারে আসবে। এভাবে যদি বাজার বিভিন্ন স্থানে বসানো যায় তাহলে মূল্য সিন্ডিকেটের অধপতন ঘটবে। কারণ এ বাজারে টাটকা সবজি কম দামেই মিলেছে। তবে চাহিদার থেকে তরকারি অনেক কম ছিল। অনেকেই খবর পেয়ে আসতে আসতে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। গরীব মানুষের জন্য এ ধরনের বাজার হলে ভালোই হয়।
প্রথমদিনে কাঁচামরিচ ১১০ টাকা কেজি, করলা ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মুলা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কলা হালি প্রতি ২৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৩০-৪০ টাকা এবং ধনে পাতা ১শ’ গ্রাম ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের ওপর ভিত্তি করে এ দাম উঠানামা করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বাজারটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ক্রেতারা। বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে গেলে ক্রেতারা বাধ্য হন বেশি দামেই কিনতে। এই প্রথা ভাঙতে হবে। এজন্য ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা সম্ভব। উজিরপুুরের গুঠিয়া এলাকা থেকে পণ্য কিনে এনে এখানে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করছি। প্রথম দিনে নগরীর চাঁদমারি কলোনি ব্যতীত আমতলার মোড় মডেল মসজিদের সামনেও একটি দোকান বসানো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এটিকে আরও বৃদ্ধি করতে। মূলত বস্তি এলাকায় আরও দোকান বসাতে চাচ্ছি। আপাদত আমরা সপ্তাহে দুদিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার ন্যায্য মূল্যের দোকান খুলছি।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে সপ্তাহের ৭ দিনই এ দোকান খোলা রাখার চেষ্টা করবো। এছাড়াও এখন কাঁচামাল অর্থাৎ সবজি বিক্রি করছি খুব শীঘ্রই চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য বিক্রি করবো। বিশেষ করে বরিশালে গরুর মাংসের একটি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট রয়েছে। খুব শীঘ্রই এ ন্যায্য মূল্যের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। যতদিন বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙবে ততদিন এ বাজার থাকবে।
আরএ