সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় এবার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। যা অন্যান্য বোর্ডের ফলাফলের তুলনায় সবচেয়ে কম। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সকল বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ায় ফলাফল খারাপ হয়েছে। তবে এ থেকে আগামী বছর ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। পাস করেছে ৪৯ হাজার ৬৯ জন। ফেল করেছে ২৮ হাজার ৫৫২ জন শিক্ষার্থী। ২৯৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ কৃতকার্য এবং ৪টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে চার হাজার ৮২৬ জন। এর মধ্যে ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ২ হাজার ১০৯ জন এবং মেয়েরা পেয়েছে ২ হাজার ৭১৭ জন। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এবারো মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে।
গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল শতকরা ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এবছর ৭ দশমিক ২২ শতাংশ কম পাস করেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সকল বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ায় ফলাফল খারাপ হয়েছে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী ফারহানা সামীয়া বলেন, আমাদের কলেজ বরাবরের মতো এবারও ভালো ফলাফল করেছে। পাসের হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছি আমরা ৭৪০ জন। তবে কিছুটা খারাপ লাগছে বোর্ডে পাসের হার কমেছে। এর মুল কারণ হচ্ছে সব বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়া এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হওয়া।
আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফায়াজ ফারদিন বলেন, আমাদের কলেজ এবছর ফলাফলে খারাপ করেছে, যেটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। তবে আন্দোলন মুহুর্তে পড়াশোনায় আমরা মনোনিবেশ করতে পারিনি। যার কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যাপক এনায়েতুর রহমান বলেন, এবছর কলেজ থেকে ১২৭২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১ হাজার ২৪২ জন পাস করে। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৭৪০ জন শিক্ষার্থী। সাফল্যের ধারা আমরা সবসময় ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বলেন, এবছর আমাদের ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। বেশি খারাপ করেছে কমার্স ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ১০৬৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯১৭ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪৬৪ জন শিক্ষার্থী। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগাযোগ বাড়িয়ে আগামীতে ফলাফল ভালো করার কথা জানিয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সকল বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ার কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা ফলাফলে খুব একটা ভালো করতে পারেনি। তবে আমরা হতাশ নই। ঘুরে দাঁড়াব অবশ্যই। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ক্লাসে মনোনিবেশ বাড়াতে হবে।
এফএইচ