সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় তদন্ত সংস্থা র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব আজমেরী ওসমানের সেই টর্চারসেলের জায়গা ও লাশ ফেলার স্থান শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদুনি খালের তীর পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র্যাব-১১ এর একটি টিম কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাফায়েত হোসেন শিপনকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ রোড অবস্থিত সাবেক সংসদ সংদস্য শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরি ওসমানের টর্চার সেল উইনার ফ্যাশনের জায়গা এবং হত্যার পর যে স্থানে ত্বকীর লাশ ফেলা হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদনি খালের পাড় পরিদর্শন করেন। এ সময় র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলেল আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলেন। এবং ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করনে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র্যাব ১১ সিও লে কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ২০১৩ সালে ত্বকীকে হত্যা করা হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এর তদন্ত করছি। মাঝখানে এটির তদন্ত কিছুটা স্থবির থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনরায় তদন্তের গতি পেয়েছি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমরা র্যাব হেডকোয়াটার্স এর সহায়তা পাচ্ছি। ত্বকী হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে সম্পৃক্ত পাচঁ আসামেক গেল কয়েকদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তার জবানবন্দিতে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। এছাড়া এর আগে এ হত্যা মামলায় অপর দুই আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর ও লিটন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আজ আমরা এসেছি ত্বকীকে যেখানে হত্যা করা হয় ও হত্যার পর লাশ যেখানে ফেলা হয়। তদন্তের স্বার্থেই প্রতিটা জায়গা আমরা পরিদর্শন করছি। আশা করছি খুব শীগ্রই এই ঘটনায় একটি সুষ্ঠু তদন্ত পতিবেদন ( চার্জশীট) আদালতে জমা দিতে পারব।
আজমেরী ওসমানের বন্ধু ও শহরের মেলা ফুড ভিলেজের মালিক গ্রেপ্তার শিপন আমাদের হেফাজতে আছে, তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সে আমাদের বিভিন্ন জায়গা দেখিয়ে দিচ্ছে। আমরা যতটুকু সংবাদ পেয়েছি সে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যায় মেলে ত্বকীর লাশ। এ ঘটনায় ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ত্বকী হত্যার সঙ্গে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছেন বলে শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে তার পরিবার। তবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এই হত্যকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
এফএইচ