সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমানের (৭২)।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ মুক্তিযোদ্ধার সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মধুমতি নদীর মোল্লাহাট উপজেলার গিরিশনগর খেয়া ঘাটে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান। তিনি মোল্লাহাট উপজেলার কদমতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হাই শেখের ছেলে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
মো. হাফিজুর রহমানের মেয়ে ফারহান ইসরাত শাওন বলেন, বাড়ির সামনে মধুমতি নদীতে আব্বু গোসল করতে যায়। পানির স্রোতে ভেসে যায়, তখন কাছেই ছিল নৌকা ও মাঝি। ওই মাঝিকে শিশুরা বলছিল স্রোতে ভেসে যাওয়া লোককে নৌকায় তুলতে, কিন্তু মাঝি তাকে উদ্ধার করেনি। এরপর শিশুরা একসাথে সাঁতরে এগোচ্ছিল, তখন সামনে বেশি স্রোতে তারাও ভেসে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কুলে ফিরে আসে এবং ডাক-চিৎকার করে। ততক্ষণে ভেসে যায় আব্বু। তখন নাকি শেষ বারের মতো হাত তুলে উদ্ধারের ইশারা করে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুরা ওই মাঝির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রশাসন ও ডুবুরিদের মাধ্যমে আমি আমার বাবার সন্ধান চাই।
মোল্লাহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শরিফ আমিনুল ইসলাম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজুর রহমান মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতে ডুবে যায় এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এছাড়া খুলনা থেকে অভিজ্ঞ ডুবুরি দলের সহযোগিতায় নদীতে তল্লাশি কাজ করা হয়। এখনও সন্ধান মেলেনি। অ