সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদারের সঙ্গে ওই ইনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ জামিল মিন্টু এবং যগ্ম সম্পাদক শিবলি সাদিকের গোপন আঁতাতের একটি ছবি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
দোকানে তোলা ছবিটিতে মাঝখানের রাজকীয় চেয়ারে বসে আছেন দুলাল হোসেন চকদার তার বাম পাশে মাকসুদ জামিল মিন্টু ও ডানপাশে শিবলি সাদিক। এক নারী তাদের হাতে চা তুলে দিচ্ছেন।
ছবি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়নের পর ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদারের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকায় দফারফা করেন ইউনিয়ন বিএনপির কতিপয় নেতা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ওই চেয়ারম্যানের সঙ্গে কয়েক দফা গোপন বৈঠকও করেন তারা। বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে কানাঘুষা করলেও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি।
গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) গোপন ক্যামেরায় তোলা একটি ছবি ঘিরে তাদের আঁতাতের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। আওয়ামী লীগের ওই নেতার রয়েছে বালু ঘাটসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা। সেই ব্যাবসায়িক সমঝোতার জন্যই এমন বৈঠক বলে জানার স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, সৈরাচার হাসিনার পতনের পর আমরাও বিভিন্ন মুখে শুনেছি গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হয়েছে। বিএনপির যে নেতারা এটা করছে তারা দলের সঙ্গে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেঈমানি করছে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ জামিল মিন্টুর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, মসজিদের ঢালাই কাজের উদ্বোধন শেষে চা খেতে বসেছিলাম। এখানে আঁতাতের কোনো বিষয় নেই। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
কে