সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আস্তে আস্তে উন্নতি হয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে দেখা দিয়েছে নানা ধরণের সমস্যা ও সংকট। এখনো অনেক নিচু এলাকায় পানি থাকায় ঘরে ফিরতে পারছে না আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া অনেক বানভাসী। জেলাতে এখনো পানিবন্দী হয়ে আছেন প্রায় ১৮ লাখ মানুষ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন প্রায় ২ লাখ বানভাসী। বন্যায় বিভিন্নভাবে মারা গেছে ১১ জন।
জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এসব উপজেলায় এখনো কোথাও হাঁটু সমান বা কোথাও হাঁটুর নিচে পানি রয়েছে ও বসতঘরে এখনো পানি আছে। ধীরে ধীরে পানি নামায় বাসভাসীরা আরও কষ্টে আছে। তারা ঘরেও থাকতে পারছে না, আবার কাজেও যেতে পারছে না। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা রয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলায় পানিবন্দি আছে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ জন মানুষ। ১০৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো আছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। এ পর্যন্ত ৪৫ লাখ টাকা, ১৭০০ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ৫ লাখ টাকার গো খাদ্য বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলায় বন্যায় বিভিন্নভাবে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
জেলা রেড ক্রিসেন্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় রেড ক্রিসেন্ট এর পক্ষ থেকে খাদ্য দেওয়া হয়েছে। এখন তারা কাজ করছে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে। প্রতিদিন তারা ঘন্টায় ১৪০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। তাছাড়া তারা আগামীকাল থেকে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে খাবারের প্যাকেজ চালু করবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী আঁখি নুর জাহান নীলা বলেন, সদর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বিভিন্ন ইউনিয়নে এখনো মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদেরও ত্রাণ দেয়া অব্যাহত আছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলাতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। খাল-নালা-জলাশয় পরিষ্কার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের পথ স্বাভাবিক করা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে।
এফএইচ