সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
হঠাৎ পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনের কারণে ৪নং ঘাট বন্ধ করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে দিয়ে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা করছেন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দৌলতদিয়া ৪নং ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার সময় থেকে হঠাৎ ৪নং ফেরিঘাটের পল্টুনের পাশ থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আশ-পাশে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়। এসময় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ৪নং ফেরিঘাটের পল্টুন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় এবং ঘাটটি তাৎক্ষণিক বন্ধ ঘোষণা করেন।
এদিকে শনিবার বিকেল থেকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ৪নং ফেরিঘাট রক্ষার্থে তাৎক্ষণিকভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা করছেন। কিন্ত এদিকে ভাঙন আতঙ্কে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট নদী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার শতশত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি।
এসময় ঘাটের পাশে একাধিক ব্যক্তি বলেন, বর্ষার শুরু থেকে দৌলতদিয়া পারে ৬ ও ৭নং ফেরিঘাট নদী ভাঙনের কবলে পরে। তখন একাধিক বসতভিটা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ভিটা নদীগর্ভে চলে যায়। তখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ভাঙন প্রতিরোধ করেনি। সে সময় ভাঙন প্রতিরোধে চেষ্টা করা হলে এ সময়ে নদীতে পুনরায় ভাঙন দেখা দিতো না।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাবেক এক মহিলা মেম্বার বলেন, পদ্মা নদীর পারে শতশত বসতি। একাধিকবার নদী ভাঙনের কারণে ঘাটের পাশে এসে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। আবারও যদি নদী ভাঙনের কারণে স্থানীয়দের সরে যেতে হয়, তাহলে রাস্তার পাশে গিয়ে তাদের বসবাস করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ বাজেট নেই। বাজেট থাকলে সময় মতো ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যেত। সময় মতো ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নিলে আজ দৌলতদিয়া পারের ঘাটগুলো নদী ভাঙনে পরতো না। আতঙ্ক থাকতে হতো না এখানে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ীদের।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দৌলতদিয়া পারের ৪নং ফেরিঘাট হঠাৎ নদী ভাঙনের কবলে পরে। তবে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে দিচ্ছি। আগামীকালও আমরা ভাঙন প্রতিরোধের জন্য বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলবো। আশা করি আগামীকাল দৌলতদিয়া পারের ৪নং ফেরিঘাট সচল করা সম্ভব হবে।
আরএ