সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় রেজিয়া বেওয়া (৫৫) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন। ছেলে আনিছুর রহমানের সঙ্গে অভিমান করে রেজিয়া বেওয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে সকালে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চকশালাইপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেজিয়া বেওয়া চকশালাইপুর গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভুগছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রেজিয়া বেওয়ার ছেলে আনিছুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। এরই জেরে আনিছুরের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে আনিছুর রহমান ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রায়ই তার মা রেজিয়ার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ছেলের এই আচরণ সহ্য না করতে পেরে রেজিয়া বেওয়া আগেও কয়েকবার আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। কয়েকদিন আগে ছেলের সঙ্গে অভিমান করে রেজিয়া বেওয়া তার মেয়ের বাড়িতে চলে যান। এরপর বৃহস্পতিবার রেজিয়া বেওয়া নিজ বাড়িতে চলে আসেন। শুক্রবার সকালে বাড়িতে না পেয়ে তাকে খোঁজাখুজিঁ করেন স্বজনরা। পরে বাড়ির পাশের একটি খড়ের ঘরে রেজিয়া বেওয়ার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ছেলে আনিছুর রহমানের সঙ্গে অভিমান করেই রেজিয়া বেওয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিবেশি ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু কামাল বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে রেজিয়া বেওয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রেজিয়া বেওয়া দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভুগছিলেন। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। রেজিয়া বেওয়া কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এফএইচ