সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাঙামাটি সদরের পুরান পাড়া এলাকার বাসিন্দা শাবানা বেগম। স্বামী দিনমজুর এবং তিনি গৃহিণী। গত কয়েক মাস আগে তার বাসায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গিয়ে প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিয়ে আসে। প্রিপেইড মিটার লাগানোর পর তার বকেয়া ইউনিটের কারণে ১১০০ টাকা বিদুৎ বিল আসে এবং তার পরের মাসেই বিদ্যুৎ বিল আসে ৬৪ হাজার টাকা।
এভাবেই শহরের পুরান পাড়া, জালিয়া পাড়া, ইসলামপুর এলাকার শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক শিকার হয়েছেন হাজার হাজার টাকার ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগে শহরের রিজার্ভ বাজার, পুরান পাড়া, শরিয়তপুর এলাকারবাসীরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে এসে জড়ো হয়ে অভিযোগ করেন।
পুরান পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, আমি পেশায় একজন ইমাম। আমি বেতন পাই সাত হাজার টাকা। আমি প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রতিমাসে পরিশোধ করে ফেলি। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানোর পরে আমাকে নয় হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হলো। এতগুলো বিল আমি কীভাবে পরিশোধ করবো?
আরেক ভুক্তভোগী নতুন জালিয়া পাড়া এলাকার মিনাকী রাণী দাস বলেন, প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা রিচার্জ করেও কুলাতে পারছি না। টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর আগের ব্যবহৃত ইউনিট বকেয়া আছে জানিয়ে ২৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে আমাকে। আমরা নিম্নআয়ের মানুষ। এত টাকা কোথা থেকে দেব?
রাঙামাটি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার এলাকার অনেকের নাকি অতিরিক্ত বিল দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী আমাকে জাননানোর পর আমি ওদেরসহ বিদ্যুৎ অফিসে আসলাম। এখানকার দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।
বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটির পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রিজার্ভ বাজার এলাকায় চার হাজার গ্রাহকের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার লাগিয়েছি। যারা প্রিপেইড মিটার পেয়েছে তাদের পুরাতন মিটারে কিছু ইউনিট বকেয়া থাকার কারণে ওগুলোর বিদুৎ বিল এসেছে।
যারা অভিযোগ করেছেন অতিরিক্ত বিলের, তারা যদি আবেদন করে তাহলে আমরা বিলগুলো কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ দেব। অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মিটার রিডারদের ভুলের কারণে এমনটা হতে পারে। আমরা সেগুলো দেখছি।
জেবি