সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
তাপপ্রবাহে মেহেরপুর জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের যে কয়টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এতে গেল কয়েক দিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান।
চাষিরা জানান, বৈশাখ মাসে মাঠের আবাদ হিসেবে পাট ও সবজি বীজ বপন এবং বোরো ধানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে।
তবে সকাল ১০টার পর থেকে মাঠে অবস্থান বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তাই শ্রমিকরা কাজে যেতেই চাচ্ছে না। স্বল্পসংখ্যক শ্রমিক যারা কাজে যাচ্ছেন, তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন দুপুরের অনেক আগেই।
দুপুর পর্যন্ত কেউ আর মাঠে অবস্থান করতে চাইছেন না। তাপপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সূর্যের আলো উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
ঝড়ের গতিতে বয়ে যাওয়ার গরম বাতাস অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। ফলে কাজ বাদ দিয়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন চাষিরা।
আবার কেউ কেউ মাঠের মধ্যে থাকা টিউবওয়েলের পানি পান করে তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে মাঠ থেকে শুরু করে শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত তাপপ্রবাহের চিত্র একই। ব্যস্ত সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে দুপুরের আগে থেকেই।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন অনেকে। তীব্র গরম আর প্রচণ্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু শারীরিক ঝুঁকি জেনেও নিম্নআয়ের অনেক মানুষ ভারি কাজ করছেন।
জেবি