দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। সকাল ১০টা থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়কের মরিচের বাজার থেকে আড়ুকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে।
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা সোমবার সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের রেলগেটে প্রথমে মানববন্ধন করে। পুলিশ তাদের হটিয়ে দিতে গেলে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে।
খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে এপিবিএন, র্যাবসহ বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
দুপুর সোয়া দুটার দিকে প্রথমে যান চলাচলের চেষ্টা করলে আবার মরিচের বাজারে মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় আড়কান্দিতে পুলিশ, এপিবিএন ও বিজিবি রাস্তা থেকে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচল করতে গেলে সেখানে মহাসড়কের ঢালে লুকিয়ে থাকা বিক্ষুব্ধরা ঢিল ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে হটিয়ে দেয়। এরপর বেলা সোয়া তিনটার পর মহাসড়ক থেকে গাছের গুঁড়ি ও জ্বলন্ত টায়ার অপসারণ করার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার জুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ১৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকজন শর্টগানের গুলিতে আহত হন। অনেক পুলিশ ইটপাটকেলে আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে।
জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে জনতা সমবেত হতে থাকলে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এ সময় সমবেতরা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, কামারখালী ব্রিজের অদুরে মাঝিবাড়িতে ও বাগাটের ঘোপঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কে উঠে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরপর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।
এ ব্যাপারে জানতে পুলিশের একাধিক দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
জেবি