সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। রোববার (২১ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন তিনি।
পরে দুপুর ২টার দিকে রুবেলের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলার রাখালগাছা গ্রামের আজহারুল ইসলাম ও লাইলী বেগমের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন প্রার্থিতা প্রত্যারের লিখিত আবেদন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। এর আগে, সকালে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে লুৎফুল হাবিব রুবেল দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক বলেন, যে উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেটার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই আমি সম্পৃক্ত নই। এটা একটা ষড়যন্ত্র। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রুবেল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবেন না। এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পূর্ণ করব।
ভিডিও বার্তায় রুবেল আরও বলেন, ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আছি, ২০০৫ সালে গোল ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এর পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেছি, বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি।
তিনি বলেন, গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পরপর তিন বার নির্বাচিত হই।…গত ৮ তারিখে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সাবমিট করি। তারপরে যে উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেটার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। এটা একটা ষড়যন্ত্র।
ভিডিওর শেষে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রুবেল।
প্রসঙ্গত, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেল। সেজন্য শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
কিন্তু ১৫ এপ্রিল রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে রুবেলের বিরুদ্ধে। দেলোয়ার এখনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রুবেলকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়। পরদিন শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকেও তাকে শোকজ করা হয়।
এদিকে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদেরও প্রার্থী হতে দল থেকে নিষেধ করা হলে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক রুবেলের প্রসঙ্গও আসে। শুক্রবার হাসপাতালে গিয়ে দেলোয়ারকে দেখে এসে দুঃখ প্রকাশ করেন সিংড়ার এমপি পলক। পরে রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।
ডিপি/