সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন ভোলার মানুষ। তবে লঞ্চঘাটে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। বাড়তি ভাড়া আর অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাধ্য হয়েই ফিরতে হচ্ছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোলার ইলিশাঘাটে যাত্রীদের ভয়াবহ চাপ দেখা গেলেও নৌযান সংকটের কারণে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হতে দেখা গেছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-ঢাকা রুট। গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে। তবে ঈদের সময় যাত্রী সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও ছিল বাড়তি যাত্রীর চাপ।
সোমবার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। কেউ লঞ্চে কেউ সি ট্রাকে কেউবা ফেরিতে যাচ্ছেন। আবার কেউ অবৈধ স্পিড বোট, ট্রলারেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও ঝুকিপুর্ণ যাত্রা নিয়ন্ত্রণে কোনো মনিটরিং নেই। যদিও ঘাটে পুলিশ ও নৌপুলিশ সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।
যাত্রীরা জানালেন, ঈদ উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। তাই চট্রগ্রাম ও রাজধানীমুখী মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু ঘাটে এসেই তাদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক নৌযান থাকায় ভয়াবহ চাপ।
মনিটরিং না থাকায় ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী পারাপার করছে নৌ যানগুলো। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুনে।
যাত্রী আবুল কালাম, মোস্তফা ও শিরিনা বেগম বলেন, তারা পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করেছেন। যাবেন চট্রগ্রাম। কিন্তু ঘাটে অতিরিক্ত চাপ থাকায় বসে অপেক্ষা করছেন।
রহমত উল্ল্যাহ ও জাকির হোসেন নামে দুই যাত্রী বলেন, এভাবে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দেয়া অনেকটা ঝুঁকিপুর্ণ। তারপরও মানুষ বাধ্য হয়ে যাচ্ছে। কারণ সবাইকে কর্মস্থলে যেতে হবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাগবে মনিটরিং চলছে। কেউ যাতে অবৈধ নৌযান ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী পারাপার করতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ড এবং নৌপুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিটরিং করবেন।
এদিকে ঘাটে শৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণের পরেও কর্মস্থলে ফেরার টানে দুর্ভোগ উপেক্ষা করেই ফিরছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ আবার ঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী লঞ্চের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন।
ইলিশা-ঢাকা রুটে ১৫টি লঞ্চ ও ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ৪টি মাত্র সি ট্রাক চলছে। যা ৩ লাখের অধিক কর্মস্থলে ফেরা মানুষের জন্য অপ্রতুল।
এও