দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সোমালিয়ান দস্যু কর্তৃক অপহৃত নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারের মাঝে। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক মুক্তি পেয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর দুই নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু ও মোহাম্মদ ছালেহ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের মাঝে শংকা কেটে স্বস্তি এসেছে। এখন তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন কখন ফিরে আসবে তাদের সন্তান, ভাই ও স্বামী।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছে রাজুর বিয়ে উপলক্ষ করে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় বদলে গেছে পরিবারের সব চিত্র।
ঈদের দুই দিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘ একমাস পরে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় মুক্তি পাওয়া পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন রাজু সহ সব নাবিক যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরে আসে।
রাজুর মা দৌলত আরা বেগম বলেন, আমার ছেলে মুক্তি পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ছেলের জিম্মিতে গত এক মাস অসুস্থ ছিলাম। এখন আমার ছেলেসহ সবাই মুক্তি পেয়েছে। গতকাল রাতে আমাকে ফোন করেছে, মা আমি আসছি। এখন ছেলেকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।
রাজুর বাবা আজিজুল হক মাষ্টার বলেন, গত এক মাস যে অস্থির অবস্থায় ছিলাম, জাহাজ মুক্তির সংবাদে স্বস্থি পেলাম। অল্লাহর দরবারে শুকরিয়া।
রাজুর বড় ভাই জিয়াউল হক রনি বলেন, ভোর রাতে রাজু ফোন করেছিলো। আমরা স্বস্থি পেয়েিেছ। জাহাহসহ সকলের মুক্তিতে যারা সহযোগীতা করেছে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
অপরদিকে, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুই দিন পরে নাবিক ছালেহর মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে। এখন মেয়েদের নিয়ে স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুণছেন তানিয়া।
তিনি বলেন, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া। আমার স্বামী মুক্তি পেয়েছেন। মেয়েরা পথ চেয়ে আছেন কখন তাদের বাবা আসবে। তিনি না আসা পর্যন্ত প্রতীক্ষায় থাকব।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি বাণিজ্যক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এও