সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভরণপোষণ না দেওয়া ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অধিকার বঞ্চিত স্ত্রী ও সন্তানরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাবালক তিন সন্তানসহ সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন মৌসুমী আক্তার নামের এক গৃহবধূ।
মৌসুমী আক্তার বলেন, প্রায় ২০বছর পূর্বে বামনা উপজেলার বড় তালেশ্বর গ্রামের মৃত ছত্তার মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলাম মুন্সীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। আমার গর্ভের দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান নিয়ে ঘর সংসার করি। গত ৭-৮ বছর ধরে আমাকে জ্বালা যন্ত্রনা দিয়ে আসতেছে ।
আমি স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারাও কোনো সুরাহা দিতে পারেনি। আমার স্বামী নজরুল ইসলাম মুন্সিকে ডেকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আমাদের নাবালক সন্তানদেরকে তার হাতে তুলে দেন। কিছু দিন যেতে না যেতেই নজরুল ইসলাম হিংস্রতা শুরু করে দেয়। আমাদের পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। সেই থেকেই আমি স্কুল পড়ুয়া তিনটি নাবালক সন্তানদেরকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
আমার সন্তানদের লেখাপড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আমি না পারছি সন্তানদের ভরণপোষণ দিতে, না পারছি লেখাপড়া করাতে, না পারছি চিকিৎসা দিতে। ছিন্নমূল পরিবারের কর্তা হিসেবে আমার বাবা-মা বর্তমানে সরকারের দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে রয়েছেন। আমার বাবাও অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। আমি এই তিনটি সন্তান নিয়েও মাঝে মাঝে বাবার পরিবারে যাই।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত মৌসুমী আক্তার ও তার সন্তানরা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী নজরুল ইসলাম ইতোপূর্বে আরও চারটি বিবাহ করেছে। তার আরও সন্তান আছে। আমার সন্তানদের লেখাপড়ার খরচের জন্য কোনো দানশীল ব্যক্তি যদি এগিয়ে আসেন তাহলে মা হিসেবে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মৌসুমী আক্তারের বাবা মো. কামাল হোসেন, ১৩ বছরের কন্যা সন্তান মিমি আক্তার, ৭ বছরের পুত্র সন্তান মাহিন ও আড়াই বছরের কন্যা সন্তান মাইশা।
জেবি