সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুরে নিজের ৫০ শতক জমি দিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রায় এক যুগ বিনা বেতনে চাকরি করে অবশেষে চাকরি (এমপিও) না হওয়ায় এবং স্কুল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভোক্তভোগী এক শিক্ষকসহ এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার ১১ নম্বর বলাইরচর ইউনিয়নের জংগলদী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা জংগলদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তারের খামখেয়ালীপনা এবং প্রধান শিক্ষিকার দাবিকৃত দশ লাখ টাকা না দেওয়ায় এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে আদালতে মামলাও করেছেন ভোক্তভোগী ওই সহকারী শিক্ষক শাহাদাত হোসেন।
শাহাদাত হোসেন মানববন্ধনে বলেন, স্কুলের জমিদাতা হিসেবে ২০১২ সালে অস্থায়ী সহকারী শিক্ষক হিসেবে জংগলদী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান।
২০২০ সালে ওই বিদ্যালয়টি (এমপিও) হয় এবং শাহাদাত হোসেনকে বাদ দিয়ে সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদেরকে বেতনভুক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে শাহাদাত হোসেন আদালতের শরণাপন্ন হয় এবং ২০২১ সালের ১১ই নভেম্বর মহামান্য আদালত শাহাদাত হোসেনকে চাকরিতে বহাল ও বেতন এমপিও করার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে নির্দেশনা দেন।
প্রধান শিক্ষিকা তার বেতন এমপিও এবং চাকরিতে পুনরায় নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান আমাকে চাকরিতে যোগদান করাননি।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, আমার নিজের নামের জমিতে ২৫০ টি বনজগাছ লাগানো হলেও সেটা স্কুলের দাবি করে সেই গাছ প্রধান শিক্ষক গুণ্ডপাণ্ডা দিয়ে কেটে ফেলে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
এছাড়াও ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সুবাহান বলেন, শাহাদাত হোসেন আমাদের সঙ্গেই বিনা বেতনে চাকরি করেছেন। এমনকি স্কুলের জন্য জমিও দান করেছেন। শাহাদাতের পক্ষে উচ্চ আদালতের ডিগ্রি রয়েছে কিন্তু তার পরেও তাকে চাকরিতে বহাল না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আসছে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১২ সালে শাহাদাত হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয় এটা সত্য। কিন্তু তার সার্টিফিকেটে সমস্যা থাকায় তার বেতন এমপিও করা সম্ভব হয়নি। দশ লাখ টাকা ঘুষ এবং আদালতের রায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ময়মনসিংহ বিভাগীয় ডিডি মহোদয়কে লিখিত দিয়েছেন বলে শুনেছি। তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জেবি