সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় জোনায়েত হাওলাদার নামে এক মাদরাসাছাত্রকে মাদরাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার ওউ মাদরাসাছাত্রের বিরুদ্ধে মাত্র ২০০ টাকা চুরির অপবাদে এ নির্যাতন চালানো হয়। গুরুতর আহত জোনায়েত কে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এ নির্যাতনের ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসক ও পুলিশ জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তিনি নিজে আহত মাদরাসাছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বলে জানান ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান।
রোববার (১৫ অক্টোবর) ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের বাসস্ট্যাস্ট সংলগ্ন আলহাজ আব্দুল কাদের জমাদ্দার হাফেজিয়া ফোরকানিয়া মাদরাসায় এবং এতিমখানা ও শিশু সনদে ঘটনাটি ঘটে। তবে নির্যাতনের শিকার শিশু জোনায়েত হাওলাদার (১১) জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের চিংগুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. লাভলু হাওলাদারের ছেলে।
নির্যাতিত শিশুটির মা সোনিয়া বেগম অভিযোগ করেন, তার ছেলে স্থানীয় আব্দুল কাদের জোমাদ্দার ফোরকানিয়া মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করে আসছে। ওই মাদরাসার দ্বীন ইসলাম নামের এক ছাত্রের দুইশত টাকা হারিয়ে যায়। বিষয়টি সে মাদরাসার শিক্ষকদের অবগত করে। পরে অনুমান নির্ভর মাদরাসার মুহতামিম মো. জাকির হোসেন জোনায়েতকে সন্দেহ করে। তার বিরুদ্ধে ওই টাকা চুরির অপবাদ এনে জোনায়েতকে মাদরাসার একটি কক্ষে হাত-পা বেঁধে বেদম মারপিট করে। মারপিটের একপর্যায়ে জোনায়েত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মারপিটের ঘটনাটি পরিবারের কাউকে না জানাতে হুমকিও দেয় জাকির হোসেন। একপর্যায়ে জোনায়েত সোমবার সন্ধ্যায় এক রিকশা চালকের সহয়তায় বাড়িতে পৌঁছে মিথ্যে অপবাদে নির্যাতনের বিষয়টি তার মাকে জানান।
জোনায়েতের মা সোনিয়া আক্তার আরও বলেন, মাদরাসার বেতন দিয়ে আমি জোনায়েতকে ১০৫ টাকা হাতে দিয়ে বাড়িতে আসি। সেই টাকা দেখে আমার শিশু পুত্রকে চুরির অপবাদ দিয়ে মাদরাসার মুহতামিম অমানুষিক নির্যাতন করেছে। নির্যাতেনের পর কাউকে না বলার জন্য হুমকিও প্রদান করা হয় তাকে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাদরাসার মুহতামিম মো. জাকির হোসেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে পালিয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সন্দেহবশত কাউকে এমন নির্যাতন করা বেআইনি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
জেবি