সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে মাহীগঞ্জ মেট্রো থানার এক নম্বর কল্যাণী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মর্জিনা বেগম মেরী নামের এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর সিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগম মেরি।
এ সময় তিনি বলেন, আমার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত শালিসি বৈঠকে চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া তালাক দেওয়ার রায় প্রদান করে ছাড়াছাড়ি করে নেন আমাকে। এরপর থেকে তিনি আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন এবং সুখে রাখবে, কখনও কষ্ট দিবেন না এমন প্রলোভন দেখিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়ার ভালোবাসার মায়াজালে আকৃষ্ট হয়ে যাই। তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সাংসারিক সমস্যার কথা জানিয়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়।
সরল মনে পরবর্তিতে ২০১৮ সালের কোর্ট এফিডেভিট ও রেজিষ্টারের মাধ্যমে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক ৫ লাখ ১ হাজার ১০১ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহবন্ধনে আমরা দুজনে আবদ্ধ হই।
বিয়ের পর আমার বাবার বাড়িতে নুর আলম মিয়া লোক দেখানোর জন্য দিনের বেলা এসে সময় কাটিয়ে চলে যায় রাতে অবস্থান করেন নাই। এভাবে ৬ মাস অতিবাহিত হলে, আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে, নুর আলম মিয়া আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে। স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তার বাড়িতে গেলে সে উপস্থিত থেকে তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের মাধ্যমে আমাকে লোহার রড দিয়ে মারডাং করে। এতে আমি রক্তাত্ম হই। পরে আমাকে উদ্ধার করে আমার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে নুর আলম মিয়া আবারো ক্ষমা চেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং স্ত্রীর মর্যাদা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২-৩ মাস যেতে না যেতেই আবারো আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করে দেন। এবারে নুর আলম মিয়া আমাকে ফেসবুকে ব্লক ও মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন। সেইসঙ্গে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে প্রচার করতে থাকেন।
বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে নানারকম হুমকি ধামকি ও আমার বাসায় মাদকদ্রব্য রেখে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। এখন আমি দিশেহারা। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে ১ নম্বর কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার জন্যই তাকে বিয়ে করেছি। আর কিভাবে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে তা আমার জানা নেই।
জেবি