দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুমিল্লার মুরাদনগরে মানসিক ভারসাম্যহীন মো. নাছির মিয়া প্রকাশ নাসিরকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর দক্ষিণ পাড়ার মৃত রোশন আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (৩৮)
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে নাছির ঘুমিয়ে ছিলো। পরদিন মসজিদের ইমাম আবদুল মোমেনের মাধ্যমে মামলার বাদী জানতে পারে যে, মানসিক ভারসাম্যহীন মৃত মো. নাছির মিয়া (৩৮) মুরাদনগর থানাধীন বাখরনগর দক্ষিণ পাড়া কোম্পানীগঞ্জ হতে নবীনগর গামী সড়কের পশ্চিম পাশে জনৈক হাজী মো. ধনু মিয়া সওদাগরের নির্মাণাধীন রুমে নাছিরের মৃতদেহ পড়ে আছে। সংবাদ পেয়ে বাদী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন নাছির এর ঘাড়ের পেছনে ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম দেখতে পায়।
আসামী সোহাগ মিয়া (২৫) ঘটনার দিন রাত ১১টায় মো. জসিম উদ্দিন (৪০) ও মো. সেন্টু মিয়াকে (৩০) মুরাদনগর থানার নগরপাড় কোম্পানীগঞ্জ হতে নবীনগর রোড এবং কুমিল্লা হতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী রোডে একা পেয়ে আসামির হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করত: নগর পাড় হইতে বাখরনগর এর দিকে চলিয়া যাইতে থাকিলে জখমী জসিম ও সেন্টু পিছু পিছু যেতে থাকে। আসামি বাখরনগর দক্ষিণ পাড়া কোম্পানীগঞ্জ হতে নবীনগর গামী সড়কের পশ্চিম পাশে জনৈক হাজী মোঃ ধনু মিয়া সওদাগরের নির্মানাধীন ২য় রুমে ভিকটিম নাছির ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় আসামি তাহার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে নাছিরের ঘাড়ে কোপালে জসিম ও সেন্টু দেখে চিৎকার করলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাতে ভিকটিম নাছিরের বাবা আ. আউয়াল (৬৫) বাদী হয়ে সোহাগ মিয়াকে (২৫) আসামি করে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন করলে রাষ্ট্রপক্ষ আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আজ আসামিক কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতের এজলাসের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আসামি সোহাগ মিয়া ২০২১ সালের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে অধ্যাবদি জেল হাজতে আটক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পি পি) অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জেবি