সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুষ্টিয়ায় গত ১৬ মাসে ৯২টি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৯০ টিই সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেচ ব্যবস্থা্। একের পর এক এমন বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরিতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকেরা।
প্রতিটি চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি কোনো সমাধান। এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি কোনো চোর, উদ্ধার হয়নি মালামালও। চোরের কাছে অসহায় কৃষক ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের মে থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯২টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের মধ্যে মাত্র দুটি আবাসিক এলাকার আর বাকী সব কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্পের। প্রতিটি চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
কুমারখালীর জোতমোড়া গ্রামের কৃষক মো. আমির ফরায়েজি বলেন, সকালে মাঠে গিয়ে দেখি আমার সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ নেই। পরে দেখতে পাই বিদ্যুতের খুঁটিতে ট্রান্সফরমারটি নেই। খোলস পড়ে আছে, কিন্তু ভেতরের কয়েল ও তেল নেই। ১৪ আগস্ট রাতে যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে কৃষক মো. আকরাম হোসেনের সেচ পাম্পের ১০ কেভিএ একটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ছয় মাসে দুইবার আমার ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। একটি ট্রান্সফরমারের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। জেলাজুড়ে একের পর এক ট্রান্সফরমার চুরি গেলেও কোনো তোরজোড় নেই কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তাদের। কোনো প্রকার তথ্য দিতেও নারাজ তারা।
তবে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তিনাথ বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে কাজ করছেন তারা।
জেলায় একের পর এক সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে জমিতে সেচ কারযক্রম, বেকায়দায় পড়েছে কৃষকেরা। সেচের অভাবে শত শত বিঘা জমির ফসল নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় তারা। আর দীর্ঘদিন ধরে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারগুলো পুনরায় এখনো না লাগানোর কারণে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে কৃষকদের মাঝে। দ্রুত এই সংকটের সমাধান চায় তারা।
এম