সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মাগুরার মহম্মদপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলা মৃণ্ময় তেওয়ারী বাপ্পা (২৮) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এক লিখিত বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার নিজ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জান্নাতুল বাদশা বাদী হয়ে শনিবার সকালে মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ১ হাজার ৪০০ জনকে। আসামিদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির ১০১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী বাপ্পাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বাপ্পাকে ছেড়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন ওসি। কিন্তু রোববার সকালে তাকে মাগুরার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠালে ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয় বাপ্পার চাচা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কানু তেওয়ারী বলেন, গ্রেপ্তারের পর আমি থানায় গেলে বাপ্পাকে ছেড়ে দেবেন বলে ওসি আশ্বস্ত করেন। উল্টো তাকে জেলে দিয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ বলেন, বাপ্পা ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে ফাঁসাতে ইচ্ছা করে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। এতে আমার সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র দ্রুত আমরা প্রতিহত করব।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান-উল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মামলার এজাহারে তার নাম দেওয়া হয়েছে। তবে সে ছাত্রলীগ কর্মী কি না আমার জানা নেই। নেতাদের সুপারিশে জামিন যোগ্য ধারায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জেডএ