সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শরীয়তপুরে ট্রাফিক পুলিশের টাউন সাব ইন্সপেক্টর মো. নেছার উদ্দিন জমাদ্দার নামে এক মোটরসাইকেল চালককে ৫ হাজার টাকার মামলা দেওয়ায় অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নেছার উদ্দিন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মাছুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।
এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ (সোমবার) দুপুরে শরীয়তপুর শহর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে গোসাইরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন নেছার। এ সময় তার মোটরসাইকেলে দুইজন যাত্রী ছিলেন। তিনি যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার মনোহর বাজার মোড় এলাকায় পৌঁছালে তাকে দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র দেখতে চান টাউন সাব ইন্সপেক্টর ফজলুল করিম। মোটরসাইকেল চালক নেছারে সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। ফলে সাব ইন্সপেক্টর ফজলুল করিম ওই মোটরসাইকেল চালককে ট্রাফিক আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানার টাকার অঙ্ক দেখে নেছার উদ্দিন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে নেছারের সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়িতে চলে যান।
টাউন সাব ইন্সপেক্টর ফজলুল করিম বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় আমি তাদের দাঁড় করাই এবং কাগজপত্র দেখতে চাই। সব কাগজপত্র দেখার পরে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। জরিমানার অঙ্ক দেখেই মাথা ঘুরে হঠাৎ করে পড়ে যান তিনি।
শরীয়তপুর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আবু সাঈদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল কিনা, কে জানে। তিনি এখন সুস্থ আছেন, বাড়িও ফিরে গেছেন।
নেছার উদ্দিন বলেন, আমাকে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করান। তখন তাকে জানাই আমি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাই। তবুও তিনি সব ধরনের কাগজপত্র দেখতে চান। আমার সব কাগজপত্র ঠিক ছিল কিন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ চলে গেছে এটা জানতাম না। আমি তাকে অনেক অনুরোধ করি, কিন্তু আমাকে ৫ হাজার টাকার মামলা দেন তিনি।
আমি গরিব মানুষ। এত টাকা কোথা থেকে দেব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জেডএ