সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশের অন্যতম নেক্কারজনক ও লোমহর্ষকর বিডিআর বিদ্রোহের ১৫ বছর পার হলেও হয়নি কোনো সঠিক বিচার। সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুতি করে আইনি কাঠগরায় দাঁড় করায় আওয়ামী লীগ সরকার। এসব চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক কামাল হোসেন বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিনা বিচারে কারাবরণ করতে হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যেসব নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন,তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি করেন কামাল হোসেন।
উল্লেখ্য, বিডিআর বিদ্রোহের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার কারণে নিহতদের পরিবার এবং হত্যা মামলার আসামিরা এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এখনো ৬৯টি আপিল বিচারাধীন থাকায়, তাদের অপেক্ষা কবে শেষ হবে তা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত।
এফএইচ