সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার ছয় তলা ভবন থেকে পড়ে এক তরুণী মারা গেছেন। নিহতের নাম আফরোজা আক্তার মিমি (২১)। রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। মিমি মিরপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সাইন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
তরুণীর মৃত্যুর পর পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তার বাবা আফসার উদ্দিন।
বাবার অভিযোগ, তার মেয়ে একটি অপরাধের শিকার হয়েছিলেন। থানায় মামলা করার পর তদন্ত কর্মকর্তার ‘উৎপাতে’ সে আত্মহত্যা করেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পল্লবী থানা পুলিশ বলছে, মেয়েটি ‘দুর্ঘটনাবশত’ ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।
আফসার উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর মেহেদী হাসান জনি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর মেহেদী নায়িকা বানানোর লোভ দেখিয়ে ওর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আদায় করে নেয় কয়েক লাখ টাকা। একপর্যায়ে তারা ডিওএইচএস এলাকাতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘মিমি ও মেহেদীর বিয়ে হয়নি, কেবল এফিডেফিট করেছিলেন তারা। চলতি বছর আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেহেদী তাকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেন। এরপর মিমি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মে মাসে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর পল্লবী থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।
সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় ফোন করে টাকা চাইত। আমার মেয়েকে ফোন করে তার সঙ্গে অন্য পুরুষদের জড়িয়ে চার্জশিট দেওয়ার ভয় দেখাত।
আবার এদিকে পুলিশ মেহেদীকে গ্রেপ্তার করলেও ১৭-১৮ দিন পর জামিনে বের হয়ে সে আবারও উৎপাত শুরু করে। এসব কারণে মিমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু মামলার সাক্ষ্যর কারণে তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর আমরা তাকে আর চিকিৎসা দিতে পারিনি। মেয়েটা আমার শেষ পর্যন্ত মরেই গেল।
এ ঘটনায় পল্লবী থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, নিহত তরুণীর বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনা আইনে মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।