সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
একেবারে শেষ প্রান্তে বিপিএলের এবারের আসর। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে টুর্নামেন্টটির। ইতোমধ্যে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ফরচুন বরিশাল। তবে শিরোপার এত কাছে এসেও বিপিএল ছাড়ার হুমকি দিলেন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান। এবারের আসরে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও ফিক্সিং অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করেছেন তিনি।
চলতি আসরের শুরু থেকেই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ড। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জল ঘোলা হয়েছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া ইস্যু নিয়ে। এর মধ্যে দুর্বার রাজশাহীর নাম উঠে এসেছে একাধিক অনিয়মে। এছাড়া টুর্নামেন্টজুড়ে দশ জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের। তবে বিসিবি বা এর দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আমরা চাই, তদন্ত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশের ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনি যেই হোন না কেন, যত বড় তারকাই হোন, শাস্তি পেতেই হবে। যদি বিচার না হয়, তাহলে আমাদের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না। কারণ আমরা দল চালাই নিজেদের বিনিয়োগ দিয়ে, আর অন্যরা চালায় ফিক্সিং করে।’
মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘দল গঠনের সময় যাচাই করা উচিত ছিল কার আর্থিক সমস্যা আছে, আর কার নেই। এসব নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা লাগছে। এরই মধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে বরিশালের সঙ্গে যারা খেলতেন, তারা আগাম টাকা চাইতেন না, এবার চেয়েছেন। বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
বিপিএল থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছেন ঠিকই, তবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় টুর্নামেন্টে থাকার ইচ্ছাও রয়েছে তার। ইতোমধ্যে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করে কিছু পরিবর্তনের আশ্বাসও পেয়েছেন তিনি।
‘সবকিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর। তবে এই আসরে আমরা যথাযথ সম্মান পেয়েছি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, সময় দিয়েছে। আমরা আশ্বাসও পেয়েছি। কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতেই পারে, তবে সেটার সংশোধন জরুরি।’
/অ