আটক ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডারকে ফেরত দেয়া মানেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার শেষ না-এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলেন-এই ঘটনা দুদেশের উত্তেজনা প্রশমনের সাময়িক ব্যবস্থা বা শান্তির একটা বার্তা মাত্র।
বিশ্লেষকদের মন্তব্য ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন কাশ্মির ইস্যু ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সংলাপ। আর সেটা না হলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দিন দিন অবনতির দিকেই যাবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় বিস্ফোরক হামলায় ভারতের রিজার্ভ পুলিশের ৪২ সদস্য নিহতের পরই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা।
এরপর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের বালাকোটের কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের পাল্টা হামলায় ৩০০ এর বেশি জঙ্গি হত্যার দাবি নাকচ করার পাশাপাশি উল্টো ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে আটক ভারতের বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানকে নিজ দেশ ভারতের কাছে ফেরত দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
বিশ্লেষকরা বলেন-এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পরিসমাপ্তি ঘটাবে না বরং সাময়িকভাবে দুদেশের উত্তেজনা কিছুটা কমবে হয়ত।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক আমেনা মহসীনের অভিমত-ভারত পাকিস্তান উত্তেজনার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সংলাপ।
পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে না এগুলেও ভারত-পাকিস্তান শান্তির পথ বের করাটা খুব সহজ হবে না মত দিয়ে বিশ্লেষকরা বললেন-এর জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।