দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুরা ফালাক পবিত্র কোরআনের অত্যন্ত ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি সুরা। এটি কোরআনের ১১৩ নম্বর সুরা এবং এর আয়াত সংখ্যা মোট ৫টি। এর গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যান্য সুরা থেকে বেশি। তাই এ সুরাটি অর্থসহ মুখস্থ করে রাখা উত্তম।
সুরা ফালাকে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। সেই দোয়াগুলো আমরা ব্যক্তিগত দোয়ার সময়ও পড়তে পারি। এজন্য এ সুরা মুখস্থ থাকলে ও অর্থ জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১. কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক
২. মিন শাররি মা-খালাক
৩. ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব
৪. ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ
৫. ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
১. বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার
২. তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে
৩. অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়
৪. গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
৫. এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
সাধারণত যেকোনো বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহর কাছে নিরাপদ আশ্রয় চাওয়ার জন্য এই সুরা এবং এর পরের সুরা নাসের আমল সুন্নত। মহানবী (সা.)ও বিপদে-আপদে ও অসুস্থতায় এই দুটো সুরার ওপর আমল করতেন। তার ক্ষতি করার জন্য তাকে জাদু করে রশিতে ১১টি গিঁট দেওয়া হয়েছিল। এই দুটি সুরার ১১টি আয়াত পড়ে সেই ১১টি গিঁট খোলা হয়।
সুরা ফালাক পড়লে শয়তানের অনিষ্ট ও জাদুটোনা থেকে বেঁচে থাকা যায়। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সুরা ইখলাস ও এই দুই সুরা ( সুরা ফালাক ও সুরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (তিরমিজি)
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত একসঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।’ (বুখারি)
ফজর আর মাগরিবে এই দুই ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস প্রতিটি তিনবার করে পড়া সুন্নত। অন্যান্য ফরজ সালাতের আদায় করে একবার করে এই তিন সুরা পড়ার কথা বলা হয়েছে।’ (আবু দাউদ)
হজরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমার কি জানা নেই আজ রাতে আমার ওপর যে আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে এগুলোর মতো কোনো আয়াত দেখাও যায়নি এবং শোনাও যায়নি। আর তাহলো- কুল আউজু বি রাব্বিল ফালাক ও কুল আউজু বি রাব্বিন নাস।’ (মুসলিম)
এস