সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে সেবাদাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে নানা চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গ টেনে রোববার (২২ জুন) নয়াপল্টনে এক দোয়া-মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন খুব পরিস্কার, আমরা সবার আগে তিস্তার পানির ন্যায্য বন্টন চাই এবং অভিন্ন যেসমস্ত নদীগুলো আছে প্রত্যেকটি নদীর আমরা ন্যায্য হিৎসা আমরা চাই, এটা আমাদের অধিকার, আন্তর্জাতিক আইনের অধিকার। এই কথাগুলো সরকার বলতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ভারতের কাছে তারা (সরকার) সেবাদাসে পরিণত হয়ে গেছে। শুধু ভারত নয়, সমগ্র আশে-পাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে তারা আজকে পুরোপুরি মাথা নিচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এই একটা অথর্ব নতজানু শাসকগোষ্ঠি আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ‘কোনো সফলতা দেখছেন না’ বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজকে তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী যিনি নির্বাচিত নন, তিনি ভারতে গিয়ে ১০টি চুক্তি করেছেন। চুক্তিগুলো আমরা দেখলাম যে, বেশিরভাগ বলা হচ্ছে মোমোরেন্ডাম সই করেছেন। অনেকগুলো তারা চুক্তি করবেন, কারিগরি দল পাঠাবেন সেগুলো।
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিস্ময় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের দুর্নীতি কাহিনী বেরিয়েছে। সাবেক যে সেনা প্রধান (আজিজ আহমেদ) তার দুর্নীতির কাহিনী বেরিয়েছে। আবারও কয়েকজন পুলিশের দুর্নীতি কাহিনী বেরিয়ে আসছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম যে, গত পরশু পুলিশের অ্যাসোসিয়েশন থেকে একটা স্ট্যাটমেন্ট দেওয়া হয়েছে, পুলিশের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করা যাবে না। কারণ এতে নাকি তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। আজকে সারাদেশের মানুষ জানে, সারা পৃথিবী জানে যে, পুলিশ বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য তারা কিভাবে এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজস করে তারা বিত্ত-বৈভবের একটা দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছে। শুধু তাই নয়, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধবংস করছে, গণতন্ত্রকে ধবংস করার জন্য এসব কর্মকর্তারা জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের একে একে সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, বিচার ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষের বেঁচে থাকবার ন্যুনত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার একটা অবৈধ সরকার। তারা সমস্ত দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে।’
এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএ