সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জমাট বরফ গলেনি। দলগুলোকে সংলাপে বসে এ সংকট নিরসন করতে হবে।
সোমবার (১০ জুন) নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও সার্বিক পরিবেশ এখনো পুরোপুরি অনুকূলে হয়ে ওঠেনি। তবুও আমি আশাবাদী সংকট নিরসন হবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেই সংলাপের মধ্য দিয়ে এর সমাধান করতে হবে। পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী দলকে অভিন্দন জানানোর মাধ্যমে একটি সুস্থ নির্বানি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আর যারা নির্বাচিত হবেন তারা সেবার মনোভাব নিয়ে জনগণের কাছে গেলে সংস্কৃতিতে বড় ধরনের একটি পরিবর্তন হবে।
গত ৭ জানুয়ারির ভোট, উপজেলা ভোট অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার কারণ শাসকদলের নিয়ন্ত্রণ, নাকি বিরোধী দলের ভোট বর্জন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা জানি আপনারাও জানেন, দেশের সার্বিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। বিতর্কটা এখনো বহাল আছে যে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় রয়েছে, নানা বিষয়ে রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশের অন্যতম একটা প্রধান দল বলে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। এতে প্রত্যাশিত যে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ তার ঘাটতি ছিল। যেকোনো কারণেই হোক উভয়পক্ষ অনড় ছিল তাদের দাবি নিয়ে। যে কারণে একটি বড় দল অংশগ্রহণ করেনি। সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমাদের কোনো ঘাটতি ছিল না আমরা আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছিলাম। সংলাপের প্রয়োজন, এর উদ্যোগ কে নেবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলব না আমাদের দেশের যারা বিশিষ্ট জন আছেন, তারা আমাদের চেয়ে ভালো বোঝেন-কীভাবে সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।
ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি এ দায় আপনাদের ওপর দেওয়া হয়, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন করা। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশনেন একটি কাজ হচ্ছে তফসিল ঘোষণা করা। এরপর একটা সময় আছে যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয়, তখন বলে দেয় তোমরা প্রচারণা করো। এই যে প্রতারণায় প্রচারণাটা কিন্তু সিইসি মাঠে গিয়ে করেন না। যারা পার্টি হন তারাই করেন। তাদের দক্ষতা প্রচারণা ও দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল করবে ভোটার উপস্থিতি। ভোটার উপস্থিতি পুরোপুরি নির্ভর করে প্রার্থীর ওপর। ভোটার উপস্থিতির হার কত হবে তার দায় আমরা নিতে পারব না। মনে রাখতে হবে নির্বাচনটা রাজনীতি নয়। নির্বাচন কমিশন একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে। ইসির যে সুযোগ ছিল, ইসির যে কাজগুলো করতে হবে এটার একটি রুটিন আছে, সেগুলো করে থাকি। এছাড়া ভোটারদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য আমরা নানা রকম প্রচারণা করছি। একটি নির্বাচনের রাজনীতিবিদ ও প্রার্থীদের মধ্যে যে গণসংযোগ আমি কিন্তু এবার তার কমতি দেখেছি। আমি বলব নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিবেশটা যদি অনুকূল হয়ে ওঠে তাহলে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনকে নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করার চেষ্টা করছি কি না জনগণ দেখছে। আমরা কোনো রকম অসততার আশ্রয় গ্রহণ করিনি। কোনো রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করিনি এবং আমরা সব থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। তাহলে জনগণের আস্থা না থাকলেও আস্থা হওয়া উচিত। আর আস্থা জিনিসটা একদিনে গড়ে ওঠে না। ক্রমান্বয়ে তা পরিণতি হতে পারে। আমরা যে নির্বাচনটা করেছি এতে জনগণের মধ্যে আস্থা অতীতের সীমিত পরিসরে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, সহিংসতা কম হয়েছে, ভোট জালিয়াতি কম হয়েছে, কারচুপি কম হয়েছে। ম্যানুপুলেশনের অভিযোগ হয়নি।
কে