সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সাধারণ গ্রাহকদের ওপর পড়বে না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ মিথ্যাচার করছে। এবারের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ গ্রাহকদের ওপর এর চাপ পড়বে না; বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় গ্রাহক পর্যায়ে দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে কথা মানায় না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দেশের জনগণের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছিল; তখন বিদ্যুৎখাতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তাদের দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে অর্থায়ন বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৯৬- ২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ২শ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল। অথচ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার ১০০শ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বিদ্যুতের পরিবর্তে শুধু খাম্বা স্থাপন করে দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। উল্টো ৫ বছরে ৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। সেখানে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কল্যাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৯ হাজার ৭শ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
বিবৃতিতে বিএনপির উদ্দেশে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে রাজনীতি করছে। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, তারা জনগণের ক্ষমতায়নেও বিশ্বাস করে না। তাদের নির্ভরতা কেবলমাত্র বিদেশি শক্তির ওপর।
তিনি বলেন, বিএনপি বিপুল অর্থ ব্যয় করে লবিষ্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে আসছে। বিপরীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনকল্যাণের রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির গতিপথ নির্ণীত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছে। একদিকে তারা প্রতিনিয়ত মিডিয়ার সামনে অবাধ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, অন্যদিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে! বিএনপির এই দ্বিচারিতা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার সম্পর্কে দেশের মানুষ সচেতন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সময় দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। অর্ধশতাধিক বেসরকারি টেলিভিশন, শত শত অনলাইন নিউজ পোর্টাল, নতুন নতুন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার অনুমোদন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মত প্রকাশের মুক্ত- বাতায়ন উন্মোচন করেছে সরকার।