পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তী। ১৫৩ বছর আগে এ দিনে কোলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মেগ্রহণ করেন বাংলার কবি, বাঙালির কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জমিদারী উপলক্ষে দীর্ঘদিন তিনি কাটিয়েছেন বাংলাদেশে। বাংলার অপরূপ প্রকৃতি রবীন্দ্রমানস গঠনে রেখেছে বড় প্রভাব।
আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এমনই একটি প্রাণে গান যার সুর ও বাণীতে সচল-সজীব বাংলাদেশ ধরা পড়েছে। তার বিচিত্র-বিশাল রচনাসম্ভারে বাংলার প্রকৃতি ও জীবনকে রবীন্দ্রনাথ তুলেও ধরেছেন।
জমিদারী সূত্রে ১৮৯০ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসরে ছিলেন তিনি। সেখানকার অবারিত নদী-মাঠ-প্রান্তরের অলৌকিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি বারবার ছুটে গিয়েছেন। এ দেশের তুলনাহীন প্রকৃতি তাকে দিয়েছে নতুন কিছু লেখবার প্রেরণা।
এ দেশের মাটিতেই তার চিন্তার নতুন দিগন্ত প্রসারিত হয়েছে। বাংলার রূপ, রস, গন্ধে মিশে গিয়েছিলেন তিনি। মনের মানুষ ও অচিন পাখির খোঁজে নিমগ্ন হলেন সৃষ্টিতে।
রবীন্দ্রনাথ বেঁচে ছিলেন ৮০ বছর কিন্তু এর মধ্যে কাজই করেছেন ৬৪ বছর। আর এ সময়কালে বিপুল সৃষ্টিসম্ভারে তিনি বাঙালির মানসজগতের দিগবলয় বদলে দিয়েছেন।
কী গল্পে, কী উপন্যাসে, কী কবিতায়, কী সঙ্গীতে, কী নাটকে, কী চিত্রকলায় - তিনি নতুন পথ করে করে হেঁটেছেন। আর এ কারণে রবীন্দ্রনাথ সবসময় সমসাময়িক।
একটি শব্দও পড়তে না জানা, সাহিত্য কী তা না বোঝা মানুষও কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গানটি ঠিকই প্রাণে তুলে নেন। গানই তাকে আপন করেছে, দিয়েছে ভালোবাসার আসন।
রবীন্দ্রনাথও হতে চেয়ে ছিলেন সবার আপনার লোক, হয়েছেনও আর কোনো জন্ম থাকে তো জন্মাতে চেয়েছেন অন্য কোথায় নয়, তার ভালোবাসার সোনার বাংলায়।