দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাংলাদেশের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে ভিন্ন রূপ পায় এবারের নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা-১৪৩২। সাদ-লাল-কালো রঙের বাহারি আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও জাতিগত সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান জানান, আনন্দ শোভাযাত্রায় ম্রো, মারমা, লুসাই, বম, খেয়াং, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা, সাঁওতাল, ওঁরাও, মনিপুরীসহ পাহাড় ও সমতলের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
এ বছরের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে এটি শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা বর্ণিল মুখোশ, রঙিন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতীকী মোটিফ যেমন-তরমুজের ফালি ব্যবহৃত হয়।
শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ প্রদর্শিত হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিভ হলো ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। এছাড়া, পায়রা, মাছ, বাঘ ও মুগ্ধর আলোচিত পানির বোতল প্রদর্শিত হয়েছে।
আরএ