সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, কালো শকুনদের চক্রান্ত এখনও থামেনি। আপনাদের দোয়ায় যদি বেঁচে থাকতে পারি তাহলে কোনো শহীদ পরিবার ও আহতদের গায়ে একটি আঁচড় লাগতে দিব না। শহীদ পরিবার ও আহত ভাইদের কাউকে দুর্দশাগ্রস্ত জীবন যাপন করতে হবে না। এটি করতে হয়তো একটু সময় লাগবে। আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে সবটুকু দিয়ে সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া বিভাগের ৫৫ জনের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগে ৯২ জন শহীদ হলেও যোগাযোগ ঘাটতির কারণে ৫৫ জনকে আজ অনুদান দেয়া হয়।
সারজিস বলেন, দেশের অন্যতম সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নাকি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কত টাকা দুই কোটি টাকা। তার জন্য জেলে যেতে হয়েছে। শেখ হাসিনার দোসররা যদি আজ থেকে ২০ বছর পর ফিরে আসে তখন এমন করবে যে আমরা ফাউন্ডেশনের ২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছি, এ বলে জেলে পাঠিয়ে দেবে। বিষয়টি আমাদের সবার আত্মসম্মানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ জন্য আমাদের প্রপার ডকুমেন্ট লাগবে। সঠিক কাগজপত্র পৌঁছানো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ফান্ড পৌঁছে দেয়া হবে।
সারজিস আলম বলেন, আমাদের সকলের দায়িত্ব, যে স্বপ্ন নিয়ে, যে স্পিরিট নিয়ে এই অভ্যুত্থান হয়েছে সেটিকে রক্ষা করা। আমরা একদিকে যেমন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করব অপরদিকে প্রশাসনসহ সব স্তরে সার্বিক কাজে সহযোগিতাও করব। প্রশাসনের যারা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠান শুরু করার আগে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে খোঁজ নেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জেন অফিসের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার তুবাউল জান্নান লিমাত, শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঢাকার কয়েকজন সমন্বয়ক-সহ সমন্বয়ক।
কে