সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুপারশপের পর আজ থেকে দেশের কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হচ্ছে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তখন তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিনজাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ কার্যক্রমে কাঁচাবাজার ও পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালানো হবে।
এরই অংশ হিসেবে আজ থেকে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও চালানো হবে অভিযান।
জানা গেছে, নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপের পর আজ থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ।
এ ব্যাপারে রয়েছে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, পলিথিনের বিকল্প এখনও তারা পাননি। পলিথিন ছাড়া কীভাবে চলবেন? ক্রেতারা যদি ব্যাগ কিনে নিয়ে আসেন তাহলে তাদের ব্যাগেই মালামাল দেবেন তারা। আর যদি সহজলভ্য ব্যাগ পান, তাহলে সেগুলোও তারা বিক্রি করতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন বলেন, এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল-নদী ও মাটির জন্য বিপজ্জনক। সেজন্য এটি বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি এটিও সত্য যে, বাজারে বিকল্প সামগ্রী না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকারের নেওয়া পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি যে সাধারণ মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, শুরুতেই কাঁচাবাজার নয়, বরং পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলেও প্রায় দুই দশক ধরে নজরদারির অভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ম্লান হয়ে গেছে।
আরএ