সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদের ভাস্কর্য না বানানোর অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার। ইসলাম ধর্মে মূর্তি, ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি বানানো নিষিদ্ধ থাকায় দেশবাসীর এই অনুরোধ জানায় তারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই অনুরোধ জানান আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন।
বিবৃতিতে মকুবল হোসেন উল্লেখ করেন, ‘আপনারা সবাই অবগত আছেন, আমার ছেলে আবু সাঈদ গত ১৬ জুলাই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরের গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, কিছু লোক শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শহীদ আবু সাঈদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আপনারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আপনাদের ভালোবাসাকে সম্মান করি। কিন্তু আমার ছেলেটাকে কত কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। আমি চাই না আমার ছেলে দুনিয়াতে যেমন কষ্ট পেয়েছে, আখিরাতেও তেমন কষ্ট পাক। আমরা মুসলমান। আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস করি। যেহেতু ইসলাম ধর্মে সব মূর্তি, ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি বানানো নিষিদ্ধ, সেহেতু আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি- দেশের কোনো স্থানে আমার ছেলের মূর্তি বা ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি যেন না বানানো হয়। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, আমার ছেলের জন্য যদি কিছু করতেই চান, তাহলে জনকল্যাণমুখী এমন কিছু কাজ করুন যার সওয়াব আবু সাঈদ কবরে পাবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে শহীদ আবু সাঈদের জন্য দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আমাদের জন্যও দোয়া চাই।’
উল্লেখ্য, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে' বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। পরদিন ১৭ জুলাই পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।
অ/এফএইচ