সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ৯ শতাংশ শিক্ষক জড়িত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। বাকি ৯১ শতাংশ শিক্ষককে এসব শিক্ষকের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দৃঢ় আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম দ্বারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, গত ১৫ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহননের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধের দায় কেবল নারী সংগঠন বা ছাত্র সমাজের নয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে।
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধে ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক প্রণীত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত রায়কে শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে অনুমোদন করতে হবে। অভিযোগ কমিটি সম্পর্কে ছাত্র শিক্ষকদের কোন স্বচ্ছ ধারণা নেই, এ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা, নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মর্মান্তিক আত্মহননের ঘটনায় প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এও