সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ সত্য উদঘাটন না করার জন্যই র্যাবকে তদন্ত ভার দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল সাগর-রুনীর মামলা।
শুনানিতে আদালত বলেন আদালত বলেন এটি শুধু পরিবারের জন্যই দুঃখজনক নয়। একযোগে তদন্ত শেষ না হওয়া পুরো জাতির জন্য হতাশাজনক।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করব।
র্যাব তদন্ত করার এখতেয়ার রাখে না, তারা অপারেশনাল ফোর্স। তাদেরকে তদন্ত ভার দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল সাগর-রুনীর মামলা বলে অভিযোগ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
সাগর রুনি হত্যা মামলার তদন্ত র্যাব থেকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশে সন্তুষ্ট রুনির ভাই নওশের রোমান।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
এফএইচ