সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিচারের ফরমাল তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। তবে শুধু শেখ হাসিনা নয় এই গণহত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসে যেই গণহত্যা হয়েছে এর প্রমাণ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এটিকে সংরক্ষণ করে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে মামলাগুলো প্রমাণের যেই কাজ সেটি এখন আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা মাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। খুব দ্রুত গণহত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবো। যেন আলামত নষ্ট না হয় আর যারা সম্ভাব্য আসামি তারা যেন আইনের বাহিরে চলে যেতে না পারে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে। কোর্ট বসলে শেখ হাসিনাসহ সম্ভাব্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইব।
তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার আমলে সিস্টেমেটিক অপরাধ গঠিত হয়েছে, গণহত্যা করেছে, তারই বিচার করতে প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রসিকিউটর টিম ক্রমান্বয়ে বাড়বে। প্রথম কাজ হবে, আলামত সংগ্রহ করা। যা নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে দোসররা।
গণহত্যার যেসব তথ্য প্রমাণ আছে আছে, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জানানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে আসামিপক্ষও যেনো ন্যায় বিচার পায়, সেটিও খেয়াল রাখবে প্রসিকিউশন। তদন্তকালীন প্রয়োজন মোতাবেক গুরুতর আসামিদের গ্রেপ্তার চাইবে, প্রসিকিউশন। আসামিরা কেউ যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সেটি খেয়াল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী হোক, আইজিপি হোক, সবাই একই পর্যায়ের আসামি বিবেচনা হবে। আগের সময়ে যেভাবে বিচারব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছিল, সেরকম যেনো আর না হয়, সেটিও লক্ষ্য থাকবে।
চিফ প্রসিকিউটর আরো বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সাথে চুক্তি আছে বন্দি বিনিময়ের। গণহত্যার সময় গণমাধ্যমে দেখানো ফুটেজ তথ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এভিডেন্স কালেক্ট করা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সারাদেশের আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু হবে আগে। যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত সংস্থায় নিয়োগ দরকার। ট্রাইব্যুনালের পুনর্গঠন হলেই গ্রেপ্তার চাইবে প্রসিকিউশন।
কে