সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শোরুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
এর আগে গত ৪ এপ্রিলের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভিস বাই তনি’র প্রধান শোরুমে গত ১২ মে অভিযান চালান অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক জব্বার মন্ডল ও ইন্দ্রানী রায়। ওই দিন তার শোরুম সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং অভিযোগের শুনানির জন্য তনিকে অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়। পরবর্তীতে ১৪ মে দুই দফায় ৫০ হাজার ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তনিকে।
এছাড়া আরও জানা যায়, লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর (পেশায় আইনজীবী) অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানবিস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। বাকি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় রাজু নামের অপর এক ক্রেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।
এ ব্যাপারে তনির আইনজীবী বলেন, নিয়মানুযায়ী যেকোনো পণ্য কেনার ৩০ দিনের মধ্যে সে পণ্যের ব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে হবে। তা না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। কিন্তু লুবনা নামের যে ক্রেতার অভিযোগ তা করা হয়েছে প্রায় ২ মাসের কাছাকাছি সময়ে। তাছাড়া তনির কাছে জরিমানা আদায়ের রশিদ বাদে কোনো আদেশের কপি কিংবা নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি ভোক্তা অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে তনিকে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর সুযোগ না দেওয়ার কথাও জানান এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত প্রক্রিয়াটিতেই আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। এমনকি এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রিট করলে অধিদপ্তর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তনির অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও নজরদারি শুরু করেন। কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই তারা এ ধরনের একটি পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা- সে ব্যাপারেই আইনি সমাধান চাচ্ছেন তনি। এছাড়া এখন তারা এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসেন প্রতারণার অভিযোগে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে। তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে গুলিস্তান, মিরপুর, সাভার ও টঙ্গী এলাকার মালামাল।
আরএ