সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চিকিৎসা নিতে ভারতে গিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হন। তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে এবার জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সিআইডি। তাকে শুক্রবার (২৪ মে) উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত আদালতে তোলা হয়।
জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনা জেলার দীঘলিয়া থানার বারাকপুরের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে। সে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় তিনি কসাই। মুম্বাইয়ে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
তারপর ওই ফ্ল্যাটের মধ্যেই পুরো শরীর থেকে সব মাংস আলাদা করে সে (জিহাদ) এবং ‘মাংসের কিমা করে’ সেগুলো কিছু পলিথিনে রাখে। হাড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করা হয়। পরে সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতা ও আশপাশের এলাকা বিশেষ করে ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি এলাকায় ফেলে দেয়।
এমন তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতার কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি নামক এলাকায় অভিযানে যায় পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দা পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। সরিয়ে দেওয়া হয় আশপাশের লোকজনকে।
যদিও এখন পর্যন্ত মরদেহর কোনো অংশ উদ্ধার করা যায়নি। তবে তা খুঁজতে এবার মাঠে নেমেছে স্থানীয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।
গত ১২ মে বাংলাদেশের দর্শনা ও ভারতের গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ঝিনাইদাহ-৪ আসনের (কালীগঞ্জ ) এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। বরাহনগরে পূর্বপরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এক রাত থেকে ১৩ মে দুপুরে একটি গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে যান আনার।
এরপর থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সবার। ১৮ মে বরাহনগর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন গোপাল বিশ্বাস। আর এর ৫ দিন পর ২৩ মে বুধবার জানা গেলো নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তিনবারের নির্বাচিত আওয়ামী লীগের ওই এমপিকে। যদিও তার দেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এফবএইচ