সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অস্থিরতায় ডুবে থাকা মিয়ানমারের জান্তা সরকার নতুন একটি আইন (কনস্ক্রিপশন) প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী, দেশটির যুবক ও যুবতীদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
কনস্ক্রিপশন আইনের বিষয়টি শনিবার জানিয়েছে জান্তা সরকার। এর মানে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজ করতে হবে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী সব নারীকে অন্তত দুইবছর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে। তবে, এর বেশি কিছু জানায়নি তারা।
এক বিবৃতিতে জান্তা সরকার জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উপবিধি, পদ্ধতি, নির্দেশাবলী বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করবে।
বিবিসি জানিয়েছে, সবশেষ কয়েক মাসে বিদ্রোহীদের হাতে একের পর এক অপমানজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে জান্তা বাহিনী। গত বছরের শেষের দিকে শান প্রদেশের তিনটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়। ওই সময় চীন সীমান্তের একটি শহর দখলে নেয় তারা।
গত মাসে আরাকান আর্মি (এএ) জানিয়েছিল, তারা চিন প্রদেশের পালেতোয়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক জেনারেল মিন্ত সোয়ে এর আগে বলেছিলেন, সংঘাত নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে দেশ ভেঙে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।
বিবিসির তথ্যমতে, ২০১০ সালে কনস্ক্রিপশন আইনটি সামনে আনে দেশটির তৎকালীন সরকার। তবে, এ পর্যন্ত আইনটি বাস্তবায়িত হয়নি। আইন অনুযায়ী, প্রয়োজনে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে কাজের সময়সীমা পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। আইনটি না মানলে জেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে, গত অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো এক হয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা।
এম/জেডএ