সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গত বছরের আগস্টে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আনোয়ারুল হক কাকার। এরপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যাংক থেকে চার লাখ কোটি রুপি (পাকিস্তানের মুদ্রা) ঋণ নিয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ঋণে জর্জরিত দেশটির সরকার। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভুগছে দেশটির জনগণ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এ পর্যন্ত দেশটির সরকার যতটুকু ঋণ নিয়েছে তা গত অর্থবছরের মোট ঋণকে ছাড়িয়ে গেছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সরকার তিন দশমিক ৯৯ ট্রিলিয়ন রুপি ঋণ নিয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এক দশমিক ৩৯৮ ট্রিলিয়ন রুপি ঋণ নিয়েছিল দেশটির করার। সে অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৮৫ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছে তারা।
ডন বলছে, বিরাট পরিমাণের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছেই অদ্ভুত মনে হতে পারে। এমনকি, রাজস্ব আহোরণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও কেন ঋণ নিচ্ছে এমন প্রশ্ন ওঠছে। মূলত ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে মরিয়া হয়ে ঋণ নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ২৮ শতাংশের থেকে কিছুটা বেশি ছিল। তুলনামূলক কম মূল্যস্ফীতি সরকারকে রাজস্ব আয় বাড়াতে সহায়তা করেছে। তবে, মূল্যস্ফীতির জেরে সরকারের ব্যয় বেড়েছে। এ জন্যই সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে।
গবেষক এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সরকার চালানোর মতো রাজস্ব আনতে পারছে না। এ জন্যই সরকারের ওপর চাপ বাড়ে এবং তাদের ঋণের দিকে ধাবিত করে।
তাদের ধারণা, ঋণের এ ঊর্ধ্বগতি পাকিস্তানের জন্য খারাপ হতে পারে।
এম