সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (২৯ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী পর্যায়ের প্যানেলে এ কথা বলেন তিনি।
বুধবার (২৯ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্মেলনের কাউন্ট্রি স্টেটমেন্ট অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্কনিসৃত ভিশনারি সিদ্ধান্ত কমিউনিটি ক্লিনিক। এই কমিউনিটি ক্লিনিক এখন দেশের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। এর মাধ্যমেই নানারকম স্বাস্থ্যসেবা বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
‘হেলথ ফর অল, অল ফর হেলথ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে জেনেভায় মঙ্গলবার (২৮ মে) শুরু হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভিশনারি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনে কৌশলগত বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোড়গোঁড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইপিআই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ১০টি রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান এবং গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী মাতৃস্বাস্থ্য সেবা বাড়ানোর ফলে বিগত ২০ বছরে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কারণে গড় আয়ু ১৯৭১ সালের ৫০ থেকে বেড়ে বর্তমানে তা ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সূচকসমূহ অর্জনে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এসময় মন্ত্রী তার বক্তব্যে কার্যকর বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার পরিধি ও মানোন্নয়ন, সকলের জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য উপায়ে মানুষের দোড়গোঁড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় সব সেক্টরের সহযোগিতায় একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং সর্বোপরি কার্যকর কারিগরি জ্ঞান ও টেকনোলজি ট্রান্সফারসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইউনিসেফের ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক ডা. টেডের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল খাদ্যে সীসা সহ অন্যান্য কারণে শিশু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি মোকাবিলা ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতকণ এবং মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অগ্রগতির চিত্র সহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন। আঞ্চলিক পরিচালক আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্টেন্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরার বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি ৭-১০ অক্টোবর, দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির ৭৭ তম সভা বাংলাদেশে আয়োজনে সম্মত হওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে তা সফল করতে সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেন।
এফএইচ