দুই দিনের অভিযানে ২২ হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ

নানা অনিয়ম ও স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার অনুমতি না থাকায় গত দুদিনে অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টায় সারা দেশের ২২টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশ টিভি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

এ ছাড়া আটটি হাসপাতালকে জরিমানা এবং আরও আটটি হাসপাতালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশের ৩৭টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভিযান চালানো হয়। আর বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অভিযান চলে ১০টি হাসপাতালে। সবচেয়ে বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ঢাকার মোহাম্মদপুরের লাইফ কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল; পিপলস হেলথকেয়ার টেকনোলজিস্ট, ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার; কলেজগেট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের টিজি হাসপাতাল; রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক এবং এএইচএস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার; ঢাকা হেলথ কেয়ার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মিরপুরের মাটিকাটা এলাকার ইসিবি চত্বরের ইশতিয়াক মেডিকেল সেন্টার, রাজধানী ব্লাড ব্যাংক, হেলথ পয়েন্ট, আল হাকিমি চক্ষু হাসপাতাল, কালশীর এ এইচ এস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকার আদনান হাসপাতাল ও ডায়ানস্টিক সেন্টার, হেমায়েতপুরের রহমান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা ডায়াবেটিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

রংপুরের আরকে রোডের মেট্রো হাসপাতাল, ধাপ এলাকার সালমা ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার এবং টেক্সটাইল মোড়ের মেডিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম বন্ধ করা হয়।

বুধবার ঢাকায় ১০টি হাসপাতাল পরিদর্শন করে তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের কেয়ার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলীর ঢাকা ট্রমা সেন্টার, স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং উত্তরায় হাইকেয়ার কার্ডিয়াক ও নিউরো হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার কর্মকর্তারা জানান, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের প্রবেশপথে নিবন্ধন না টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করায়, নিবন্ধন না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট রাখা ইত্যাদি কারণে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল হোসেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনায় ৬টি উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন করে আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার দুটি ও বুধবার চারটি টিম অভিযান শুরু করে। এই ছয়টি টিমের দায়িত্বে রয়েছেন ছয়জন পরিচালক।

ডিপি/