হরতাল-অবরোধের কারণে মুখ থুবরে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারী শিল্প। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এ পেশার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১০ হাজার লোক। শীতের মৌসুমে ৩০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র মজুদ পড়ে আছে। প্রতিদিন লোকশান গুনতে হচ্ছে মালিকদের কয়েক কোটি টাকা। প্রবল হতাশায় কাটছে হোসিয়ারী পণ্য উৎপাদনকারি ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের জীবন।
বেলা গড়িয়ে বিকেল। দিনের শেষেও কোন ক্রেতার দেখা মেলেনি। আগে শীতের মৌসুমে যেখানে ছিল ক্রেতাদের বিপুল সমাগম, এখন নেই কোন ক্রেতা।
নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় হোসিয়ারী পণ্য সরবরাহ হয়। এরমধ্যে নয়ামাটি, উকিলপাড়া, দেওভোগ এলাকার হোসিয়ারী শিল্পের মূল ঘাঁটি।
লাগাতার অবরোধ-হরতালের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এখানকার হোশিয়ারি মালিক-শ্রমিকরা। হরতালের কারণে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারী শিল্পের এক থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এতে শুধু ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন না, বিপুল পরিমাণ রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের পরিচালক সাব্বির আহমেদ সাগর বলেন, রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে জেলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পে ধস নামার আশঙ্কা করছেন। আর এ শিল্প যেন হারিয়ে না যায় এমনটাই প্রত্যাশা হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের।